Skip to main content

ফারাক্কার ভাটিতে ২৫ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা, ব্যয় প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা

 ভারত থেকে আসা পদ্মা নদীর ভাটিতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রায় ২৫ কিলোমিটার নদী ভাঙন প্রবণ এলাকাকে রক্ষা করার জন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত দোভাগী ঝাইলপাড়া গ্রামে নদী পরিদর্শন শেষে এই তথ্য জানান পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ

তিনি বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় নদী ভাঙন বেড়ে গেছে। পদ্মার অন্যান্য অংশে পাড় বাঁধার কাজ আগেই শেষ হয়েছে। এখন বাকি ২৫ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন রোধে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে এবং আমরা আশাবাদী, সরকার অনুমোদন দিলে দ্রুত কাজ শুরু করতে পারব।”

তিনি আরও বলেন, “যদি এই বাঁধ নির্মাণ হয়, তাহলে পদ্মা নদীর আর কোনো অংশে পাড় বাঁধার প্রয়োজন পড়বে না। এতে করে স্থানীয় ফসলি জমি ও বসতবাড়ি রক্ষা পাবে। স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন থেকে বাঁচাতে এই প্রকল্পটি খুবই দরকার এবং সরকার এই টাকা বরাদ্দ দেবেন বলেই আমরা আশা করছি।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, প্রকল্পের আওতায় সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর ধারে ২৫ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে বাঁধ তৈরি করা হবে। এর মধ্যে ৪ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং-এর পরিকল্পনাও রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি, আগামি বর্ষার আগেই সব অনুমোদন পেয়ে যাই। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই এলাকার মানুষজন স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।”

নদী পরিদর্শনের পর অতিরিক্ত সচিব ড. বজলুর রশীদ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজাহার আলী সহ আরও অনেকে।


এই প্রতিবেদনটি ChatGPT দ্বারা সহজ ভাষায় পুনরায় লেখা হয়েছে, তাই কিছু ভুল থাকতে পারে।
সূত্র: সময় নিউজ
মূল প্রতিবেদন: https://www.somoynews.tv/news/2025-04-12/uB5MOTB1

Comments

Popular posts from this blog

আরাকান আর্মির হাতে ৫টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ২২ জেলে অপহরণ

  কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগর থেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মি অন্তত ২২ জন জেলে এবং ৫টি মাছ ধরার ট্রলার জোর করে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে, টেকনাফের সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি “মৌলভীরশীল” নামের এলাকা থেকে এই ঘটনা ঘটে। টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আরাকান আর্মির সদস্যরা জেলেদের জিম্মি করে ট্রলারসহ নিয়ে গেছে। আবুল কালাম বলেন, সকালে যখন জেলেরা সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি মাছ ধরছিল, তখন স্পিডবোটে করে এসে আরাকান আর্মির সদস্যরা ট্রলারগুলো দখল করে নেয়। তাঁর নিজের একটি ট্রলার এবং মোহাম্মদ শাওন নামের একজনের আরেকটি ট্রলার—এই দুটি ট্রলারে মোট ১১ জন জেলে ছিলেন। এছাড়া আরও ৩টি ট্রলার একই জায়গা থেকে নিয়ে গেছে তারা। তবে সেগুলোর মালিক বা নাম জানা যায়নি। ঐ ট্রলারগুলোতে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ জন জেলে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের ঘটনা আরাকান আর্মি বারবার ঘটাচ্ছে। এতে আমাদের খুব ভয় লাগছে। ট্রলার মালিক, জেলে, এবং মাছ ব্যবসায়ীরা সবাই চিন্তায় আছি। আমরা স...

this is my 1st blog

this is my 1st blog